স্বপ্ন ছোঁয়া ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি লিঃ এর গঠণতন্ত্র

 
স্বপ্ন ছোঁয়া ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি লিঃ
সংবিধান/গঠণতন্ত্র
ধারা-১। 
সমিতির নামঃ স্বপ্ন ছোঁয়া ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি লিঃ

ধারা-২।
নামকরণের সার্থকতা/যৌক্তিকতাঃ 
প্রত্যেক মানুষের জীবনে স্বপ্ন থাকে এবং প্রতিটি মানুষ প্রতিদিনই স্বপ্ন দেখে। আমরা সবাই মিলে একত্রিত হয়ে স্বপ্ন দেখি বাস্তব জীবনে বেঁচে থাকার তাগিদে সুন্দরভাবে কিছু একটা করার। আর এই লক্ষে আমাদের ঢাকার জীবনে বসবাসের জন্য দরকার একটা ফ্ল্যাট, বাড়ী অথবা দোকান। আমাদের এই স্বপ্ন বাস্তবে রুপদানের লক্ষে আমাদের সংগঠনের নাম স্বপ্ন ছোয়া  ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি লিঃ।

ধারা-৩। 
সমিতির বর্তমান / অস্থায়ী ঠিকানাঃ ২১৩/এ,পূর্ব রামপুরা, ঢাকা-১২১৯ ।

ধারা-৪।
সমিতির প্রতিষ্ঠার তারিখ ও স্থানঃ ২৮/০৯/২০১৯ ইং, ২১৩/এ পূর্ব রামপুরা, ঢাকা-১২১৯।
(আইডিয়াল ডেন্টাল কেয়ার এর দ্বিতীয় তলা)

ধারা-৫। সমিতির মনোগ্রামঃ 
গোল বৃত্তের মাঝখানে একটি মাটির ব্যাংক, মাটির ব্যাংকে সঞ্চিত টাকা জমানোর হাত, এর নিচে সংগঠনের প্রতিষ্ঠা সাল। উপরের দিকে সংগঠনের নাম, নিচের দিকে সংগঠণের ঠিকানা।

ধারা-৬। সমিতির কর্ম এলাকাঃ বর্তমানে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এবং এর পার্শ্ববর্তী এলাকা, পরবর্তীতে সারাদেশ ব্যাপি ।

ধারা-৭ উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যঃ
বর্তমানে সমিতির সকল সদস্যগণের স্বার্থে জমি ক্রয়, আবাসন প্রকল্প,ফ্ল্যাট ক্রয়,ফ্ল্যাট ভাড়া নেয়া সহ নানামুখী প্রকল্পের মাধ্যমে সমিতির উন্নয়ন করাই সমিতির মূখ্য উদ্দেশ্য।
(ক) সভ্যগণের সমবায় নীতি ও আদর্শ বিষয়ক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ দিয়ে পারস্পারিক সহযোগিতার মাধ্যমে সমবায় সংগঠন ভিত্তিক পরিকল্পিত জীবন-যাপনে উদ্বুদ্ধ করা।
(খ) ব্যক্তিগতভাবে সভ্যগণকে এবং সমষ্টিগতভাবে সংগঠনকে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে স্বাবলম্বী করে গড়ে তোলা। সভ্যগণের নিয়মিত সঞ্চয় ও সীমিত ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সম্পদ সংগঠনের মাধ্যমে সংগঠিত করে মূলধন গঠন ও মূলধনের সঠিক ব্যবহার করে সভ্যগণের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন ও নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ।
(গ) আধুনিক উৎপাদন উপকরণ সংগ্রহ, সরবরাহ ও ব্যবহার বিষয়ে সভ্যগণকে শিক্ষা প্রদান, প্রশিক্ষণ প্রদান ও সহযোগিতা প্রদান করা।
(ঘ) শিল্প কারখানা স্থাপনের মাধ্যমে উৎপাদন প্রক্রিয়াজাতকরণ ও বাজারজাতকরণ বিষয়ে পরিকল্পনা প্রণয়ন।
(ঙ) সভ্যগণের জন্য যৌথ ও একক ব্যবস্থাপনাধীন উৎপাদন প্রক্রিয়াজাতকরণ প্রভৃতি কার্যক্রমের সুযোগ সৃষ্টির জন্য পতিত সরকারী খাস জমি সংগ্রহ করে বা অন্য উৎস হতে জমি সংগ্রহ করা।
(চ) জাতীয় ও আঞ্চলিক পর্যায়ে শীর্ষ বা কেন্দ্রীয় সমবায় সংগঠনের মাধামে সহযোগিতা স্থাপন করে জাতীয় সমবায় আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করা।
(ছ) সভ্যগণের এবং সংগঠনের স্বার্থে গৃহ নির্মাণ, কুটির শিল্প স্থাপন,হস্ত-শিল্প,হাঁস মুরগী ও গবাদী পশু পালন প্রভৃতি বিষয়ে প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন এবং অন্যান্য যে কোন প্রকল্প প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন।
(জ) সভ্যগণের আবাসিক সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে আবাসন প্রকল্প গ্রহণ করা।
(ঝ) পরিবহন সমস্যা লাঘবের জন্য পরিবহন প্রকল্প গ্রহণ করা।
(ঞ) সভ্যগণদের সৎ ও হালাল জীবন-যাপনে উদ্বুদ্ধ করা এবং ধর্মীয় অনুশাসন মোতাবেক ন্যায় ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করা ।
(ট) সভ্যগণের জন্য নিত্য ব্যবহার্য দ্রব্যাদি ক্রয় ও ন্যায্য মূল্যে বন্টনের ব্যবস্থা করা। 
(ঠ) শিল্প-কারখানায় কাঁচামাল আমদানী ও উৎপাদিত পণ্যের আমদানী-রপ্তানির ব্যবস্থা ও ব্যবসা পরিচালনা করা।
(ড) মিতব্যয়িতা ও সঞ্চয় কার্যে উৎসাহ দেওয়া, সহায়তা করা এবং সর্ব প্রকার ক্ষতিকর ব্যয় সংকোচনের বিষয়ে উৎসাহ দেয়া।
(ণ) পতিত জমি আবাদ, রাস্তাঘাট সংস্কার ও মেরামত, পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান ইত্যাদি উন্নয়নমূলক জাতীয় কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ করা। 
(ত) সভ্যগণের বা উহাদের এক বা একাধিক দলের যৌথ বিনিয়োগে শিল্প কারখানা স্থাপন কিংবা অন্য কোন অর্থনৈতিক কর্মসূচীতে অংশগহণ করা।
(থ) সভ্যগণের মধ্যে সমবায় সদস্য, শিক্ষা ও সমবায় নেতৃত্ব বিষয়ক শিক্ষা প্রশিক্ষণ,প্রচরণা ও সম্প্রসারণ কাজ চালু করা।

ধারা-৮
গৌণ উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যঃ গৌণ উদ্দেশ্যগুলি যদি কার্যকর করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়, তা কার্যকরী কমিটির সাধারণ সভার মাধ্যমে ২/৩ অংশ সদস্যের অনুমোদিত হতে হবে। নচেৎ নহে।
গৌণ উদ্দেশ্যগুলি নিম্নরূপঃ
উল্লেখিত উদ্দেশ্য সাধনের জন্য সমিতি যে সকল কাজ করতে পারবেঃ
(ক) সাধারণ সভা কর্তৃক অনুমোদিত ও নির্ধারিত শর্তে কেন্দ্রীয় সমিতি বা অন্য ব্যাংক কিংবা সভ্য অথবা অন্যের নিকট হইতে ক্যাশ ক্রেডিট,কর্জ,আমানত অথবা অন্য প্রকারের মূলধন সংগ্রহ করা এবং সমিতির স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রয়, পণ্য বা গুদামে গচ্ছিত মালামাল রেহান, বন্ধক, গচ্ছিত বা হস্তান্তরক্রমে অন্য উপায়ে উক্ত খণ পরিশোধের ব্যবস্থা করা ।
(খ) কারবারের মুনাফা অর্জনের জন্য প্রয়োজন হলে জমি, গৃহাদি, কারখানা বা অন্য কোন স্থাবর/অস্থাবর সম্পত্তি ক্রয় করা, বন্দোবস্ত লওয়া বা পরিবর্ধন বা অন্য প্রকারে সংগ্রহ করা অথবা ঘরবাড়ী,গুদাম ইত্যাদি নির্মাণ করা।
(গ) আবাসিক সমস্যা সমাধানের জন্য প্লট ক্রয়, ফ্ল্যাট/বাড়ী তৈরী করে তা সদস্যদের মধ্যে হস্তান্তর করা ও বিক্রয় করে তহবিল সংগ্রহ করা অথবা মুনাফা অর্জনের জন্য বিক্রয় করা ।
(ঘ) ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে নিজস্ব মূলধন, ব্যাংক কিংবা অন্য কোন অর্থলগ্নিকারী প্রতিষ্ঠান বা সমবায় সমিতির সহিত যৌথ বিনিয়োগ ব্যবস্থায় জমি গৃহাদি বা অন্য কোন স্থাবর সম্পত্তি ক্রয় বন্দোবস্ত গ্রহণ করে গৃহায়ণ ব্যবসা করে মুনাফা অর্জন করতে পারবে।
(ঙ) যাতায়াত ব্যবস্থা উন্নয়ন ও যানজট নিরসনে সহায়তার লক্ষে ঢাকা মহানগর এলাকাসহ আন্তঃজেলা রুটে এসি/নন-এসি,ডিলাক্স বাস সার্ভিস,মাইক্রোবাস সার্ভিস,অটো রেন্টাল সার্ভিস প্রর্বতন,রেন্ট এ কার সহ অন্যান্য ব্যবসা পরিচালনা করতে পারবে।
(চ) সভ্যগণের উপযোগী শিল্প-কারখানা স্থাপনে বিশেষ করে কুটির শিল্পের প্রতি উৎসাহ দেয়া ও সাহায্য করা ।
(ছ) ব্যবসায়িক সুবিধার্থে মার্কেট স্থাপন ও দোকান ক্রয়-বিক্রয় করা।
(জ) সমিতির নামে কোন প্রকল্প গ্রহণ করার পূর্বে সকল সদস্যগণের ২/৩ অংশের ভোটের মাধ্যমে অনুমোদন গ্রহণ করতে হবে।
(ঝ) অত্র সমিতির সঞ্চয়ের কিছু অংশ সদস্যদের মধ্যে ইনসাফের ভিত্তিতে স্বল্প মুনাফায় ঋণ প্রদান করা হবে। 
তবে শর্ত থাকে যে, ঋণ গ্রহণকারীকে তার নিকটা আত্মীয় যেমন স্ত্রী / বাবা / মা / আপন ভাইকে ঋণের টাকার জামিনদার হতে হবে এবং সমিতির ২ জন সদস্যকে তার ঋণের টাকার জামিনদার হতে হবে। সদস্যকে সমিতির ঋণের টাকা দৈনিক/সাপ্তাহিক/মাসিক কিস্তিতে লভ্যাংশ সহ পরিশোধ করতে হবে। সমিতির ঋণের মেয়াদ হবে সর্বনিম্ন ১ মাস এবং সর্বোচ্চ ১ বৎসর। সমিতির ঋণের বিপরীতে মাসিক ২% -৪% লভ্যাংশ আদায় করা হবে।
নির্দিষ্ট মেয়াদের মধ্যে ঋণের মুনাফা সহ আসল টাকা পরিশোধ করিতে ব্যর্থ হইলে আরো ১% লভ্যাংশসহ মুল টাকা প্রদান করতে হবে এবং তার সঞ্চয়ের টাকা হইতে ঋণের টাকা সমন্বয় করে সমিতির মিটিংয়ে  তাহার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হইবে।
সমিতির সঞ্চিত বাকী টাকা ব্যাংকে পেনশন ডিপিএস করে জমা রাখা হবে এবং সভাপতি,সাধারণ সম্পাদক ও কোষাধ্যক্ষ এই তিন জনের নামে যৌথ একাউন্ট খোলা হবে।
ঞ) সমিতির কোন সদস্য সমিতির মিটিং এর বাহিরে কোন দোকান বা রাস্তায় কারো ব্যাপারে মন্তব্য করতে পারবেন না। যদি প্রমাণ পাওয়া যায়, তবে উক্ত সদস্যকে শোকজ নোটিশ করা হবে। পরবর্তীতে আবারো এমনটি হলে তার ব্যাপারে কমিটির মিটিং এ সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
ট) কোন সদস্য যদি পরপর ১৫ দিন সমিতির নির্ধারিত ও তার শেয়ার সংখ্যার পরিমানের উপর যে সঞ্চয় হয়, তা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে জমা না দেন, তাহলে পরবর্তী দিন থেকে প্রতি ১০০ টাকার জন্য ২ টাকা করে জরিমানা প্রদান করতে হবে।
ঠ) যদি কোন সদস্য সমিতি চালাতে অপারগ/অনিচ্ছুক হন বা এলাকা ত্যাগ করে অন্যত্র চলে যান, তাহলে অন্তত ০১ মাস পূর্বে তা লিখিতভাবে সভাপতি বরাবর জানাতে হবে এবং সমিতির সদস্যপদ লাভের ১২ মাসের মধ্যে হলে তাকে শুধুমাত্র তার মূল টাকা ফেরত প্রদান করা হবে।
ড) মেয়াদকালীন সময়ে বা মেয়াদান্তে সমিতির সকল সদস্যদের নিয়ে মিটিং এর মাধ্যমে সমিতির সঞ্চিত মূলধন লাভজনক প্রকল্পে বিনিয়োগ করা হবে। মেয়াদান্তে সকলের সম্মতিতে যদি সবাই লাভসহ মূলধন ফেরত নিতে চান, তাহলে সবাইকে তার শেয়ার সংখ্যা অনুযায়ী মুনাফাসহ টাকা ফেরত প্রদান করা হবে।
ঢ) সমিতির সর্বমোট সদস্য সংখ্যা ১০১ জনের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে। সমিতির প্রাথমিক মূলধন হবে ১,০০,০০,০০০/- (এক কোটি) টাকা। প্রতি শেয়ারের মূল্য ১০০ টাকা । একজন সদস্য প্রাথমিক অবস্থায় কমপক্ষে ৩০*১০০= ৩০০০ টাকা দিয়ে ৩০ টি শেয়ার ক্রয় করবেন। কোন সদস্য শেয়ার সংখ্যা বাড়াতে চাইলে অতিরিক্ত শেয়ার ক্রয় করতে পারবেন।
ণ) প্রতি ইংরেজি মাসের ১-১৫ তারিখের মধ্যে যে কোন শুক্রবার সকল সদস্যদের নিয়ে একবার মিটিং কল করতে হবে।

ধারা-৯
সমিতির সদস্য হওয়ার যোগ্যতাঃ 
(ক) জন্ম সূত্রে বাংলাদেশী নাগরিক হতে হবে।
 (খ) নূন্যতম বয়স ১৮ (আঠার) বৎসর হতে হবে। 
(গ) উন্নত ও নৈতিক চরিত্রের অধিকারী হতে হবে (আদালত কর্তৃক সাজাপ্রাপ্ত নহে)।
(ঘ) সুস্থ-মস্তিষ্কের অধিকারী হতে হবে (পাগল বা উন্মাদ নহে)। 
(ঙ) সমিতির আদর্শ, উদ্দেশ্য এবং গঠণতন্ত্রের প্রতি অনুগত হতে হবে।
(চ) নিধার্রিত মাসিক চাঁদা পরিশোধ করার উপযুক্ত হতে হবে।
(ছ) সংস্থার অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করার মানসিকতা থাকতে হবে।
(জ) সমাজ কল্যাণ ও মানব সেবায় নিবেদিত হতে হবে।

ধারা-১০ 
সমিতির সদস্যগণের শ্রেণী বিভাগঃ
(ক) প্রতিষ্ঠাতা সদস্যঃ- যে সকল সদস্যগণ এই সমিতি প্রতিষ্ঠার প্রথম দিন উপস্থিত থেকে স্বাক্ষরদাতা হবেন এবং সমিতি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করবেন তারাই কেবল প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসেবে গণ্য হবেন।
(খ) উপদেষ্টা সদস্যঃ- সমিতির উন্নয়নকল্পে দিক নির্দেশনার জন্য সমিতির সদস্যগণের মধ্য হতে এবং সমিতির সদস্যগণের বাহিরে যারা সকল বিষয় সম্পর্কে সম্যক জ্ঞানের অধিকারী, তারাই হবেন উপদেষ্টা সদস্য।
(গ) সাধারণ সদস্যঃ- সমিতির সকল সদস্যই সাধারণ সদস্য।
(ঘ) দাতা সদস্যঃ- যে সব ব্যক্তিবর্গ সমিতির উন্নয়নকল্পে এককালীন কোন টাকা বা আসবাব পত্র ক্রয়ের জন্য টাকা প্রদান করবেন, কেবলমাত্র এ সব ব্যক্তি/ব্যক্তিবর্গই দাতা সদস্য হিসাবে গণ্য হবেন।

ধারা-১১ 
সমিতির সদস্য হওয়ার নিয়মাবলীঃ
ক) কার্যকরী পরিষদ সভায় গৃহিত প্রস্তাব অনুযায়ী সদস্য পদের আবেদন পত্র মঞ্জুর হলে সদস্য পদ লাভ করা যাবে, নচেৎ নহে।
খ) সমিতির সকল সদস্যকে দৈনিক ১০০/-(একশত) টাকা হারে ৩০ দিনের হিসেবে প্রতি মাসে ৩,০০০/-(তিন হাজার) টাকা চাঁদা প্রদান করতে হবে। এই চাঁদা প্রদানের সময়সীমা কমপক্ষে ০৫ (পাঁচ বৎসর থাকবে। ০৫ বৎসর পর হিসাব নিকাশান্তে পরবর্তীতে পুনরায় ০৫ বছর মেয়াদে সমিতি পূনঃগঠন করে কার্যক্রম শুরু করা হবে। এ পর্যায়ে যারা সদস্য থাকবেন তাদের পূর্ববতী সঞ্চিত টাকা সমিতিতে জমা থাকতে হবে। 
গ) কেবল মাত্র সমিতির স্বার্থে এবং সকল সদস্যগণের ভাগ্যোন্নয়নের জন্য কখনো কখনো উপরোল্লিখিত চাঁদা ছাড়াও সকল সদস্যগণের মতামতের ভিত্তিতে অতিরিক্ত চাঁদা প্রদান করতে হবে, সকল সদস্যগণের মতামতের ভিত্তিতে চাঁদার হার নির্ধারণ করা হবে এবং যা কমপক্ষে ১ (এক) মাস পূর্বে সকল সদস্যগণকে নোটিশের মাধ্যমে অবগত করা হবে।
ঘ) সমিতির মূলধন বৃদ্ধি ছাড়াও প্রতি মাসে সকল সদস্যকে কল্যাণ তহবিলের জনা ১০ (দশ) টাকা এবং ব্যবস্থাপনা খাতে ব্যয় নির্বাহ করার জন্য ১০ (দশ) টাকা, কালেকটরের সম্মানী বাবদ ৮০ টাকা, মোট ১০০ (একশত) টাকা চাঁদা প্রদান করতে হবে।
ঙ) সমিতির দৈনিক চাঁদা একটানা ১৫ দিন পরিশোধ না করলে (প্রতি শেয়ারের জন্য)পরবর্তী প্রতিদিনের জন্য ৫ টাকা হারে জরিমানা প্রদান করতে হবে।
(বিঃ দ্রঃ সকল সদস্যগণের মতামতের ভিত্তিতে উক্ত চাঁদা/জরিমানার হার কমবেশী হতে পারে)
চ) সরকারী/আধাসরকারী/কোন দাতা সংস্থা/দাতা গোষ্ঠী বা কোন ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গের অনুদান এই সমিতির মূলধন হিসেবে গণ্য হবে।

ধারা-১২ 
সদস্যগণের অধিকারঃ
ক) সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও সাধারণ সদস্যগণের ভোটাধিকার থাকবে। অন্যান্য সদস্যগণ যেমন- দাতা সদস্যগণ প্রতিষ্ঠানের কার্যনির্বাহী পরিষদে অংশগ্রহণ ও ভোট প্রদান করতে পারবেন না।
(খ) সাধারণ সদস্যগণ কর্তৃক সাধারণ সদস্যগণের মধ্য থেকে ভোটের মাধ্যমে কার্যকরী পরিষদ গঠিত হবে এবং যা দুই/তৃতীয়াংশ সদস্যের ভোটে কোরাম পূর্ণ হবে।
(গ) সমিতির উন্নয়ন ও সমাজ উন্নয়নে সাধারণ সদস্যগণ মতামত ও সুপারিশ পেশ করবেন বা মতামত প্রকাশ করবেন ।
সদস্যগণ নিম্নবর্ণিত বিষয়সমূহ অনুমোদন করবেনঃ
১) গঠণতন্ত্র পরিবর্তন,পরিবর্ধন ও সংযোজন-বিয়োজন।
 ২) বার্ষিক হিসাব প্রতিবেদন।
 ৩) বার্ষিক হিসাব ও বাজেট প্রনয়ণ ।
৪) নির্বাহী পরিষদ গঠন।
 ৫) ভোটাধিকার প্রয়োগ করা ।

ধারা-১৩
সদস্য পদ বাতিলঃ
ক) কোন ব্যক্তি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করলে এবং তা কার্যকরী কমিটি কর্তৃক অনুমোদিত হলে ।
খ) কোন ব্যক্তির মৃত্যু হলে বা আদালতে নৈতিক অপরাধে অভিযুক্ত হলে।
গ) প্রতিষ্ঠানের স্বার্থের ও আদর্শের পরিপন্থী কার্যকলাপে লিপ্ত হলে।
ঘ) কোন সদস্য সমিতির মাসিক চাঁদা একাধারে ৩ মাস প্রদান না করলে।
ঙ) কোন সদস্য বা সদস্যা অত্র সমিতিতে স্থায়ী চাকুরী গ্রহণ করলে।
চ) সমিতির স্বার্থে যদি কোন সদস্য একনিষ্ঠভাবে কাজ করে, তবে তাকে সম্মানী ভাতা প্রদান করা যেতে পারে যা কার্যকরী কমিটি কর্তৃক অনুমোদিত হতে হবে।
ছ) সদস্যের স্বভাব,আচরণ মনোবৃত্তি ও কর্মকান্ড প্রতিষ্ঠানের স্বার্থের পরিপন্থী হলে।
জ) পাগল ও উন্মাদ প্রমাণিত হলে।
ঝ) আদালত কর্তৃক দেউলিয়া ঘোষিত হলে।
ঞ) মস্তিস্ক বিকৃতি ও নৈতিক স্খলনের কারণে ফৌজদারী আদালত কর্তৃক দন্ডিত হলে।
ট) সদস্যের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালনে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়লে ।
ঠ) তহবিল তছরুফ করলে এবং অবৈধ চাঁদাবাজি করলে ।
ড) গঠনতন্ত্রের পরিপন্থী কাজ করলে এবং প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমে স্বেচ্ছাচারী হলে ।

ধারা-১৪ 
লভ্যাংশ বন্টনঃ যদি কোন সদস্য/সদস্যা স্বেচ্ছায় সদস্য পদ ত্যাগ করেন বা সংবিধানের পরিপন্থি কোন কার্যকলাপের জন্য কার্যকরি কমিটি কর্তৃক সদস্য পদ বাতিল করা হয়, তবে সেই সদস্য অথবা তার ওয়ারিশগণ সমুদয় মূলধন ফেরৎ পাবেন। কিন্তু ভর্তি ফি, সদস্য পদ ফি, কল্যাণ তহবিল, অফিস খরচ, সমিতির রেজিষ্ট্রেশন খরচ, সার্ভিস চার্জ এবং জরিমানা বাবদ কোন টাকা দাবি করতে পারবেন না।

ধারা-১৫ 
সদস্যপদ স্থগিতঃ
গঠনতন্ত্রের ধারা মোতাবেক কোন সদস্যের সদস্য পদ বাতিল বলে গণ্য হলে প্রাথমিকভাবে সদস্য পদ বাতিল না করে নোটিশের মাধ্যমে সতর্ক করা হবে। এতে সংশ্লিষ্ট সদস্য সংশোধিত না হলে সদস্য পদ স্থগিত করা হবে। পরে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারী করা হবে। নোটিশের প্রেক্ষিতে সদস্যদের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ থাকবে। সংস্থার সদস্যদের প্রাথমিক সদস্য পদ বাতিলের পর সদস্যগণের জবাব সন্তোষজনক প্রমাণিত হলে নির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক সদস্য পদ পুর্ণবহাল করা হবে।

ধারা-১৬
সদস্যপদ নবায়নঃ
কার্যনির্বাহী পরিষদের অনুমোদনক্রমে বকেয়া সমুদয় চাঁদা পরিশোধ করলে এবং ভবিষ্যতে সাংবিধানিক ভাবে সদস্যের দায়িত্ব পালনে অঙ্গিকারাবদ্ধ হলে লিখিত আবেদনক্রমে সদস্যপদ নবায়ন করা যাবে ।

ধারা-১৭
সমিতির ব্যবস্থাপনার জন্য সাংগঠনিক কাঠামো ৩ টিঃ
সাংগঠনিক কাঠামোর বিবরণ-
১) উপদেষ্টা পরিষদঃ
কোন বিশেষ বিষয়ে যোগ্যতা সম্পন্ন সুদক্ষ এবং অভিজ্ঞতা সম্পন্ন বিশিষ্ট পুরুষ এবং মহিলাগণকে নিয়ে সংগঠনের উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করা হবে। উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যগণ সংস্থার গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে উপদেশ প্রদান করবেন। সংস্থার কার্যনিবাহী পরিষদ কার্যনির্বাহী সভার মাধ্যমে আলোচনার ভিত্তিতে ৯ (নয়) সদস্যের উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করতে পারবেন। এই পরিষদের মেয়াদ হবে তিন বছর। প্রয়োজন বোধে কার্যনির্বাহী পরিষদের মেয়াদ শেষ হওয়ার পূর্বে উপদেষ্টা পরিষদ ভেঙ্গে নতুন উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করার ক্ষমতা সংরক্ষণ করবেন।
২) সাধারণ পরিষদঃ
সমিতির সকল সদস্য নিয়ে গঠিত হবে সাধারণ পরিষদ । তবে সাধারণ পরিষদের সদস্য সংখ্যার সীমা হবে ১০১ (একশত এক) জন ।
৩) কার্যকরী পরিষদঃ
সমিতির সকল সাধারণ সদস্যগণের মধ্য হতে কণ্ঠভোটের মাধ্যমে ১১ সদস্য বিশিষ্ট একটি কার্যকরী পরিষদ গঠিত হবে। নিম্নে বর্ণিত কাঠামো অনুযায়ী কার্যকরী পরিষদ গঠিত হবেঃ
১। সভাপতি/চেয়ারম্যান -১ জন
২। সহ-সভাপতি/ভাইস চেয়ারম্যান -১ জন
৩। সাধারণ সম্পাদক -১ জন
৪। সহ-সাধারণ সম্পাদক -১ জন
৫। কোষাধ্যক্ষ -১ জন
৬। সহকারী কোষাধ্যক্ষ - ১ জন
৭। প্রচার সম্পাদক- ১ জন
৮। কার্য নির্বাহী সদস্য-  ৪ জন
              মোট ১১ জন

ধারা-১৮
কার্যকরী পরিষদের কার্যাবলী, দায়িত্ব ও ক্ষমতাঃ
ক) কার্যকরী পরিষদ সমিতির সকল নির্বাহী দায়িত্ব পালন করবেন এবং এই প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমের সমন্বয় সাধন ও পরিচালনার দায়িত্ব পালন করবেন।
খ) কার্যকরী পরিষদ সমিতির উপদেষ্টা পরিষদের যে কোন সদস্যকে যে কোন দায়িত্ব ক্ষমতা প্রদান করতে পারবেন।
গ) কার্যকরী পরিষদ সমিতির বিভিন্ন প্রকার প্রকল্প গ্রহণ, বাস্তবায়ন ও অর্থ সংস্থানের ব্যবস্থা নিবেন।
ঘ) কার্যকরী পরিষদের কোন সিদ্ধান্ত সমিতির মোট সাধারণ সদস্যদের নুন্যতম ২/৩ (দুই তৃতীয়াংশ) এর সংখ্যাগরিষ্ট সদস্য কর্তৃক অনুমোদিত হতে হবে।
ঙ) কার্যকরী পরিষদের তদারকি/তত্বাবধান সাপেক্ষে সভাপতি সংগঠনের নিয়ম শৃঙ্খলা সংরক্ষণ, নতুন সদস্য সংগ্রহ, সদস্য পদ বাতিল ইত্যাদি ব্যাপারে দায়িত্ব পালন করবেন এবং সমাজ কল্যাণমূলক কাজের তদারকি দায়িত্ব পালন করবেন এবং বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ দিবেন।
চ) কার্যকরী পরিষদ আইনগতভাবে কোন সদস্যের সদস্যপদ বাতিল করতে বা নতুন সদস্য গ্রহণ করতে পারবেন। (নির্দিষ্ট সদস্যের বাহিরেও)।
ছ) কার্যকরী পরিষদ সকল প্রশাসনিক কাজ করবেন ও সংস্থার সকল প্রকার কার্যাবলী সমন্ধে সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়নের ব্যাপারে পূর্ণ ক্ষমতার অধিকারী হবেন।
জ) সমিতির বার্ষিক বাজেট প্রণয়ন পূর্বক উহা বার্ষিক সাধারণ সভায় অনুমোদনের জন্য পেশ করবেন। 
ঝ) সমিতির তথা এলাকার স্বার্থে এবং শান্তি-শৃঙ্খলার ব্যাপারে যে কোন আইনগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন । তবে উহা সাধারণ সভায় অনুমোদিত হতে হবে ।
ঞ) যে কোন কার্য সম্পাদনের জন্য নির্বাহী পরিষদ বিভিন্ন উপ-কমিটি/সাব-কমিটি গঠন করতে পারবেন ।
ট) নিবন্ধীকরণ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ করতে পারবেন ।

ধারা-১৯
কার্যকরী পরিষদের সদস্যগণের দায়িত্ব/কর্তব্য এবং ক্ষমতা
১। সভাপতিঃ
ক) তিনি প্রতিষ্ঠানের সকল সভা আহ্বান করবেন ।
খ) কার্যকরী পরিষদের সভা, বার্ষিক সাধারণ সভা বা বিশেষ সভা বা অন্য যে কোন সভায় সভাপতিত্ব করবেন।
গ) তিনি প্রতিষ্ঠানের সদস্যগণের মতামতের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা ও পরিচালনার নিয়মাবলী নির্ধারণ করবেন।
ঘ) প্রতিষ্ঠানে নিয়োগকৃত কর্মকর্তা/কর্মচারী ও স্বেচ্ছাসেবীগণের অর্পিত কাজে উৎসাহ, সহযোগিতা ও পরামর্শ প্রদান করবেন।
ঙ) তিনি প্রতিষ্ঠানের সাথে অন্য যে কোন প্রতিষ্ঠানের চুক্তিপত্রে সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে যৌথ স্বাক্ষর দাতা হবেন।
চ)তিনি সকল বিভাগীয় সম্পাদকদের কাজে তদারকি, পরামর্শ ও উৎসাহ প্রদান করবেন এবং যে কোন সভা/সিম্পোজিয়াম/সেমিনারে সমিতির পক্ষে প্রতিনিধিত্ব করবেন এবং সমিতির পক্ষে যে কোন অতিথিকে অভ্যর্থনা ও সাক্ষাৎকার প্রদান করবেন।
ছ) তিনি সমিতির কার্য বিবরণী অনুমোদন করবেন ।
জ) তিনি সংগঠনের অবৈতনিক নির্বাহী বিষয়ক দায়িতৃ পালন করবেন ।
২) সহ-সভাপতি /ভাইস চেয়ারম্যানঃ
ক) তিনি সভাপতির অবর্তমানে (জীবদ্দশায়) কর্মকর্তা / কর্মচারী নিয়োগ ও ব্যাংকিং লেনদেন ব্যতীত অন্যান্য দায়িত্ব পালন করবেন।
খ) তিনি সকল কাজে সহযোগিতা করবেন।

৩) সাধারণ সম্পাদক /সেক্রেটারীঃ
ক) তিনি সংস্থার স্থাবর/অস্থাবর সম্পদের হিসাব সংরক্ষণ করবেন এবং কার্যকরী পরিষদের ও সর্ব প্রকার সাধারণ সভার কার্যবিবরণী সংরক্ষণ করবেন।
খ) প্রতিষ্ঠানের বার্ষিক কার্যক্রমের প্রতিবেদন তৈরি করা এবং কার্যকরী পরিষদের অনুমোদনক্রমে তা সাধারণ সভায় পেশ করা, প্রচার করা এবং সমিতির অন্যান্য কার্যক্রম জনসমক্ষে তুলে ধরবেন ।
গ) তিনি সমিতির সদস্যগণের তালিকা সংরক্ষণ করা ও সমিতির কার্যক্রম সম্বন্ধে সকল সভ্যগণকে অবহিত করবেন।
ঘ) সহযোগী ও সহকর্মীদের মধ্যে যোগাযোগ রক্ষা করা / ব্যবস্থা করা, সমিতির নথিপত্র সংরক্ষণ করা এবং সভার কার্যবিবরণী লিপিবদ্ধ করার ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন ।
ঙ) প্রয়াজন অনুসারে চেয়ারম্যানের পরামর্শ ক্রমে সমিতির সভা আহবান করবেন।
চ) তিনি সংস্থার স্থাবর/অস্থাবর সম্পদের জন্য স্টকবুক সংরক্ষণ করবেন।
ছ) বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রতিষ্ঠানের আর্থিক ও কার্যক্রম বার্ষিক রিপোর্ট পেশ করবেন।
৪) সহ-সাধারণ সম্পাদক / সহ-সেক্রেটারীঃ
ক) তিনি সাধারণ সম্পাদকের অবর্তমানে (জীবদ্দশায়) ব্যাংকিং লেনদেন ব্যতীত তাঁর (সাধারণ সম্পাদক) দায়িত্ব পালন এবং অন্যান্য অর্পিত দায়িত্ব সম্পাদন করবেন।
খ) তিনি সকল কাজে সহযোগিতা করবেন।
৫) কোষাধ্যক্ষ / সেক্রেটারী ফাইনেন্সঃ
ক) তিনি প্রতিষ্ঠানের চাঁদা ও সকল প্রকার দান ও অনুদান রশিদ বহির মাধ্যমে গ্রহণ করবেন।
খ) তিনি প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় হিসাব-নিকাশ রেকর্ডমূলে সংরক্ষণ করবেন।
গ) তিনি সংগঠনের বার্ষিক বাজেট প্রণয়নে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে সকল প্রকার সহায়তা করবেন।
ঘ) তিনি বার্ষিক সাধারণ সভায় বার্ষিক আয় ও ব্যয় এর হিসাব উপস্থাপনে, বাজেট প্রণয়নে ও বার্ষিক বাজেট অনুমোদনের জন্য নির্বাহী পরিষদকে সার্বিক সহযোগিতা করার দায়িত্ব পালন করবেন।
ও) তিনি ব্যাংক ও অর্থ লগ্নিকারী প্রতিষ্ঠানের অর্থ সংক্রান্ত বিষয়ে সর্বদা যোগাযোগ বজায় রাখবেন।
৬) প্রচার সম্পাদকঃ
কার্যকরী পরিষদের গৃহীত প্রস্তাব/অনুমোদন অনুযায়ী সকল সদস্যগণকে অবগত করবেন। সমিতির সভা কখন কোথায় হবে তাহা প্রচার করবেন।
৭) সদস্য/এক্সিকিউটিভ মেম্বারঃ
ক) নির্বাহী পরিষদের অর্পিত দায়িত্ব পালন করবেন।
খ) সমিতির চেয়ারম্যান, সেক্রেটারী জেনারেলসহ অন্যান্য বিভাগীয় সম্পদকগণের কাজে সহযোগিতা করবেন।
গ) নির্বাহী পরিষদের সভায় উপস্থিত থাকবেন। ঘ) সমিতির সকল সাংগঠনিক কাজে অংশগ্রহণ করবেন।

ধারা-২০
সাধারণ পরিষদের ক্ষমতা ও দায়িত্বঃ-
ক) সমিতির স্বার্থে সাধারণ পরিষদ যে কোন বৈধ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে চাইলে বিষয়, তারিখ ও স্থান উল্লেখ পূর্বক দুই তৃতীয়াংশ সদস্যের স্বাক্ষরিত লিখিত আবেদন পত্র কার্যকরী পরিষদের সভাপতি বরাবরে পেশ করতে হবে । সভাপতি উক্ত আবেদনপত্রটি কার্যকরী পরিষদের সকল সদস্যগণের মাঝে উপস্থাপন করার পর আলোচনা-পর্যালোচনা করে যে সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে তাহা চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে।
খ) এই সংস্থার নিবন্ধিকরণে ১২ (বার) মাসের মধ্যে বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হবে।
গ) সংস্থার সাধারণ পরিষদ কর্তৃক নিযুক্ত বা মনোনীত কর্মী পর্যবেক্ষক হিসেবে কার্যকরী পরিষদের বা অন্যান্য সভায় উপস্থিত থাকতে পারবেন, কিন্তু তাদের কোন ভোটাধিকার থাকবে না।
ঘ) বিগত সাধারণ সভার কার্যবিবরণী পাঠ ও অনুমোদন করা ।
ঙ) সর্ব প্রকার রিপোর্ট পেশ ও আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা।
চ) উপবিধি সংশোধন (যদি থাকে)। ছ) মুলতবী প্রস্তাব / বিবিধ । জ) সংস্থার যে কোন গুরুতৃপূর্ণ বিষয়ে কার্যকরী পরিষদকে সাধারণ পরিষদের মতামত গ্রহণ করতে হবে।
ঝ) কার্যকরী পরিষদের সদস্য নির্বাচনে সাধারণ পরিষদ দায়িত্ব পালন করবেন।
বিঃ দ্রঃ অত্র সংবিধান/গঠনতন্ত্রের যে কোন শব্দ, শব্দাংশ, বাক্য, বাক্যাংশ বা ধারা/উপধারা কেবলমাত্র কার্যকরী পরিষদের সদস্যগণই পরিবর্তন, পরিবর্ধণ বা সংযোজন করার ক্ষমতা রাখেন।
যদি কার্যকরী পরিষদের কোন সদস্য অথবা সাধারণ সদস্য উক্ত গঠণতন্ত্রের কোন ধারা / উপধারা অমান্য করেন, তবে যে কোন সদস্য বা কার্যকরী কমিটি আইন আদালতের মাধ্যমে বা যে কোন ধরণের আইনী লড়াইয়ের মাধ্যমে তাহাদের সঞ্চয় বা আমানতের টাকা সমিতির সদস্যের বরাবর বা কার্যকরী কমিটির বরবার আদায় করিয়া নিতে পারিবেন,এতে কাহারো কোন ধরণের ওজর আপত্তি থাকিবে না। কোন সদস্য বা তাহার ওয়ারিশগণ ওজর আপত্তি করিলে তাহা সর্ব আইন আদালতে অগ্রাহ্য বলে গণ্য হইবে। উপরোক্ত গঠণতন্ত্র সম্পূর্ণরুপে পড়িয়া, বুঝিয়া বা অন্যের দ্বারা পড়াইয়া ইহার মর্ম সম্যক অবগত হইয়া, স্বেচ্ছায়, স্বজ্ঞানে, সুস্থ্য মস্তিস্কে উক্ত গঠণতন্ত্রে নিজ নিজ নাম সহি স্বাক্ষর করিলাম।

অত্র সংবিধান / গঠণতন্ত্র ০৮ (আট) পাতায় কম্পিউটার কম্পোজকৃত এবং প্রতিষ্ঠাকালীন সকল সদস্যগণের স্বাক্ষরকৃত বটে।

Post a Comment

0 Comments